ধর্ষণের পর অচেতন স্কুলছাত্রীকে পুকুরে ফেলার অভিযোগ

ঝিনাইদহের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর অচেতন অবস্থায় পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার হাসিলবাগে ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কালীগঞ্জের বেলাট দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে প্রিন্স হোসেন ও কোটচাঁদপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সেলিম হোসেন মিন্টুর ছেলে নয়ন হোসেন।

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে পাশের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়।

বাড়ির পেছনে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা প্রিন্স হোসেন ও নয়ন হোসেনসহ ৩ জন তার মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী কলাবাগানের ভেতর নিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। সেসময় গ্রামের এক ব্যক্তি দেখে ফেললে অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন